7
Good Morning
Hope all are well.
এখনকার ছেলে মেয়েরা ৭-৮ এ উঠলেই প্রেম শুরু করে দেয়। বাবামা যতই বলুক না কেন তারা প্রেম করেই থাকে। এতে বাবা মায়েরা মনে কষ্ট পায়। কিন্তু ছেলে মেয়েরা তা বুঝতে চায় না। তবে এক কাজ যদি আপনারা করতে পারেন আপনাদের ছেলেমেয়েরা কখনই বিপথে যাবে না। প্রেম করলেও আপনার টেনশন থাকবে না।
আপনার ছেলে বা মেয়েকে কাছে ডাকবেন, তাকে বলবেন ঠিক আছে আমি তোমাকে স্বাধীনতা দিব কিন্তু তোমার আমার কিছু কথা রাখতে হবে৷ তখন আপনার ছেলে/মেয়ে বলবে কি কথা। তখন বলবেন, তুমি আল্লাহ তাআলা কে বেশি ভালোবাসো না, আমাদেরকে ভালোবাসো না তোমার ভাইবোনদেরকে ভালোবাসো না তোমার প্রেমিককে। তখন অবশ্যই সে যদি মুসলিম হয় বলবে আমি আল্লাহ তাআলা কেই বেশি ভালোবাসি। এখন আপনি বলবেন ঠিক আছে তুমি যখন আল্লাহ তাআলা কেই বেশি ভালোবাসো তাহলে এই কাজটি করলে তোমাকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা আমরা দিয়ে দিব। সেটি হল 5 ওয়াক্ত নামাজ সময় মত আদায় করতে হবে, কুরআন শরীফ দৈনিক পাঠ করতে হবে।
তখন অবশ্যই আপনার ছেলে/মেয়ে রাজি হয়ে যাবে। কারণ সে মনে মনে ওর প্রেমিককেই চায়। আর সে যদি স্বাধীনতা পায় সে সবি করতে চাইবে।
এখন আপনার ছেলে/মেয়েকে প্রতিদিন নামাজ পড়তে বলা শুরু করবেন। আপনারা নিজেরাও 5 ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করবেন। আল্লাহ তাআলা এর কাছে নিজেদের ছেলে মেয়েদের জন্য হেদায়েত চাইবেন। ছেলে হলে বাবা ছেলে একসাথে মসজিদে নামাজ পড়তে যাবেন। মেয়ে হলে মা মেয়েকে নিয়ে ঘরেই নামাজ পড়বেন। কিন্তু একসাথেই পড়বেন। তা নাহলে হলে কিন্তু আপনার ছেলেমেয়ে নামাজ নাও পড়তে পারে। এর পাশাপাশি প্রতিদিন সকাল, বিকাল বা সন্ধ্যায় কুরআন তিলওয়াত লরতে বলবেন। নিজেরাও তিলওয়াত করবেন। আরবি পড়তে না জানতে ইমাম সাহেবের কাছে শিখে নিবেন। মেয়ে ১০ বছরের উদ্ধে হলে কোন মহিলার কাছে পড়াবেন। ছোট হলে মক্তবে দিবেন।
এতে করে আপনাদেরও নামাজ পড়া হয়ে যাবে। আপনার ছেলেমেয়েদেরও নামাজ পড়া হবে৷ আপনার ছেলে মেয়েদের টানা 40 দিন যদি এভাবে 5 ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়াতে পারেন। আমি চ্যালেন্জ করতেছি। সে কখনও নামাজ ছাড়তে পারবে না। ছাড়তে চাইলেও মনে আল্লাহর ভয় অবশ্যই থাকবে।
আর যারা ৫ ওয়াক্ত নামাজ পরে তাদের মনে আল্লাহর ভয় সবসময়ই থাকে। তারা কখনই কোন খারাপ কাজের সাথে লিপ্ত হতে চাইবে না। নিজেকে সবসময় খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে চেষ্টা করবে।
যদি এতটুকু কাজ করতে পারেন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাআলা এর রহমতে, আপনারা আপনাদের ছেলেমেয়েদের স্বাধীনতা দিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবেন। আর কোন টেনশন থাকবে না। এতে একদিক দিয়ে আপনার ছেলেমেয়ে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবে। আল্লাহ তাআলা চাইলে আপনাদের এবং আপনাদের ছেলেমেয়েকেও জান্নাত দিয়ে দিবেন।
আপনার ছেলে/মেয়ে যা চাইবে তখন তাই দিবেন, কারণ নামাজ পড়তে পড়তে তার মনে আল্লাহর ভয় চলে আসবে। সে আর কোন খারাপ কাজ করতে চাইবে না। আপনার ছেলেমেয়ের bf/gf কে ডেকেও ঠিক সেম কথাগুলো বলবেন। সেও নামাজ পড়তে চাইবে এই সুযোগ পাইলে।
এখনকার যুগে স্বাধীনতা বলতে ছেলেমেয়েরা চায় তার bf/gf এর সাথে প্রতিদিন কথা বলতে। হ্যা আপনি আপনার ছেলেমেয়ের bf/gf কে বাড়িতে ডাকবেন, তাদের সাথে কথা বলবেন৷ তাদের দুইজন এর কাছে কথা নিবেন। বলবেন তোমাদের প্রতিদিন ১ ঘন্টা কথা বলার সুযোগ আমরা দিবো। কিন্তু বাকি ২৩ ঘন্টায় তোমরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ, কুরআন তিলওয়াত এবং তোমার পড়াশোনা, খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করবা। এভাবে স্বাধীনতা দিন৷ আপনার ছেলেমেয়েদের যদি স্বাধীনতা না দেন আপনার ছেলেমেয়েরা খারাপ পথে যেতেই পারে। আমি যেভাবে বললাম, ইনশাআল্লাহ এভাবে স্বাধীনতা দেওয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন আপনার ছেলে/মেয়ে সর্বদা সঠিক পথে পরিচালিত হবে। ইনশাআল্লাহ এরকম স্বাধীনতা পাইলে আপনার ছেলেমেয়েরা কখনই বিপথে যাবে না।
ইসলাম শান্তির ধর্ম।
আমার কথা গুলো খারাপ লাগবে মাফ করে দিবেন৷ ভালো থাকবেন নিজের প্রতি খেয়াল রাখবেন, 5 ওয়াক্ত নামাজ, নিয়মিত কুরআন শরীফ পাঠ করবেন। আল্লাহ হাফেজ।
Comments:
Reply:
To comment on this video please connect a HIVE account to your profile: Connect HIVE Account