4
যখন মন্দিরের সদর দরজায় পা দিলাম তখন বেলা শেষের একেবারে ক্ষীণ আলোটুকুও বিদায় জানিয়ে আঁধারের ঝাঁপি খুলে দিল।
একেবারে গহীনের মাঝে, নিস্তব্ধতার প্রতিচ্ছবি হয়ে, কালের আঁচড়ে ক্ষয়ে যেয়েও এক অদ্বুত গাম্ভীর্যে দাঁড়িয়ে আছে ১১টি শিবের স্তম্ভ।
চক্রাকারে ১১টি শিবের মন্দির গোল হয়ে একটা বৃত্ত তৈরি করেছে।
বৃত্তের ভেতরে ঢুকতেই হঠাৎ সন্ধ্যোগীতের আওয়াজ ভেসে এলো, ঠিক মাঝখানের মন্দিরটির ভেতর থেকে।
এগিয়ে যেতেই দেখলাম এক অবরোধ বিরহিণী কি ভীষণ আবেগ দিয়ে শিবের গীত গাইছেন সন্ধ্যাবাতি জ্বালিয়ে একমনে।
বিচ্ছিন্ন এই জনপদের মাঝে, গহীন অরণ্যের নিরালায়, আঁধারের মাঝে নিভু নিভু প্রদীপের আলোয়, বিরাগিণীর এই সেই সুরের বাঁধনে শিব মোহিত হলেন কিনা জানিনা কিন্তু মোহিত হয়ে রইলাম আমরা অনেকক্ষন।
কালের আঁচড়ে আহত সেই মন্দির, তবুও সাক্ষী শিরস্ত্রাণ হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে শত অবহেলায়। ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে হলো ভীষণ।
Comments:
Reply:
To comment on this video please connect a HIVE account to your profile: Connect HIVE Account